বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আইন বিভাগ ও নিলস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আইনি বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ'র আইন বিভাগ ও দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল' স্টুডেন্টস (এনআইএলএস) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্যোগে এবং এনআইএলএস বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের বাস্তবায়নে আইনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে দুই দিন ব্যাপী আইনি বিতর্ক প্রতিযোগিতা "বিজিসিটিইউবি-এনআইএলএস ইন্ট্রা লিগ্যাল ডিবেট ২০২০" সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত প্রোগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ'র আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মিসেস নাজনীন আক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেশন জজ, স্পেশাল জাজ কোর্ট ড. মোহাম্মদ মোরশেদ ইমতিয়াজ এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট এ,এইচ,এম জিয়া উদ্দিন।আরো বক্তব্য রাখেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ট্রেজারার প্রফেসর আ.ন.ম. ইউসুফ চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. নারায়ণ বৈদ্য এবং রেজিস্ট্রার এএফএম আখতারুজ্জামান কায়সার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী বলেন, জীবনের প্রতিটি বিষয়ে প্রতিটি লোককে যুক্তিসহকারে নিজের কথা উপস্থাপন করতে হবে। তাই বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই প্রয়েজনীয়। এর মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষার্থীরা আগামীদিনে যুক্তিনির্ভর সুন্দর সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা রাখতে পারবে। বিশেষ অতিথি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান বলেন, একজন আইনের ছাত্র যখন বিতর্কের সাথে নিজেকে সংযুক্ত রাখে, আমি মনে করি আইনজীবী হওয়ার পথে তারা একধাপ এগিয়ে যায়। বিশেষ অতিথি ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেশন জজ, স্পেশাল জাজ কোর্ট, ময়মনসিংহ ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ ইমতিয়াজ বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের সফলতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়া উদ্দীন বলেন, আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞানের পাশাপাশি প্রয়োগিক জ্ঞান ও জরুরি। তাই এ প্রাতযোগিতা আয়োজন অবশ্যই সময়োপযোগী। উক্ত প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ফার্মাসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’র সভাপতি জয়শ্রী দাশ, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা রুম্মান, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবদুল হান্নান, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসমা আল আমিন, আইন বিভাগের প্রভাষক আমিনুল হক সিদ্দিকি, আইন বিভাগের প্রভাষক মোঃ রিদুয়াানুল হক, আইন বিভাগের প্রভাষক সিদরাতুল মুনতাহা তৃণা, প্রভাষক, এনআইএলএস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি আহমেদ হোসাইন হিরক।এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় "তরুণ আইনের শিক্ষার্থীরা উদ্যমী ও ইতিবাচক হও" কে সামনে রেখে প্রতিযোগিতায় ৮টি দলে বিভক্ত মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নীলস চবি চাপ্টার কনভেনর,তানভীর কায়সার অনিন্দ্য এবং নীলস বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের অরগানাইজার শামীমা কাওসার । দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আয়োজক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এনআইএলএস বাংলাদেশের সহ-সভাপতি( মার্কেটিং) মুহাম্মদ জহিরুল হক, নিলস বাংলাদেশ এর কোর অর্গানাইজার তানভির কায়সার অনিন্দ্য নীলস, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের অর্গানাইজার শামীমা কাউছার, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল কাফি। অর্গানাইজার হিসেবে আরো দায়িত্ব পালন করেছে সাইফুর রহমান খান,তানজিনা হাসান তন্নী,আফরোজা বেগ পান্না,কাজী নাফিয়া মোশারত,হাবিবুর রহমান,আব্দুল্লাহ আল মাজেদ,আল তৌফিক মাহমুদ রিজভি,সানজিদা আফরিন, মোহাম্মদ আবু মহসিন,মোহাম্মদ মারুফ উল করিম। উক্ত প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হন সুই জুরিস (Sui Juris) দল এবং রানার্স আপ হন ল’ ভেরাইন (Law Varine)। বিতর্কে ডিবেটার অব দ্যা টুর্নামেন্ট এবং ডিবেটার অব দ্যা ফাইনাল হন সাজ্জাদ উদ্দিন হাসান। পুরস্কার ঘোষণা পরবর্তী, সভাপতির বক্তব্যে দুদিন ব্যাপী এ আইনি বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।